প্রিন্ট এর তারিখঃ সোমবার ১৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ২রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ‘চাচাকে বাবা সাজিয়ে’ মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি: ডিএনএ টেস্ট হবে সেই ইউএনওর

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ‘চাচাকে বাবা সাজিয়ে’ মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি: ডিএনএ টেস্ট হবে সেই ইউএনওর

৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের কোটায় প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগ পান ওই কর্মকর্তা। ‘চাচাকে বাবা সাজিয়ে’ মুক্তিযোদ্ধা কোটায় প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি নেওয়ার অভিযোগে মামলা হওয়া সেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে।
তদন্তে প্রকৃত পরিচয় নিশ্চিত করতে একই সঙ্গে তার পিতা-মাতা ও চাচা-চাচির ডিএনএ পরীক্ষাও করবে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্ত কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন এসব তথ্য দিয়ে বলেন, “মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভর্তি ও চাকরি লাভের উদ্দেশ্যে জন্মদাতা পিতা-মাতার পরিবর্তে আপন চাচা-চাচিকে পিতা-মাতা হিসেবে দেখিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে চরম প্রতারণা করেছেন কামাল হোসেন। এই মিথ্যা পরিচয়ের মাধ্যমে তিনি ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের কোটায় প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগ লাভ করেন।”
দুদক ২০২৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর এ মামলা করার সময় কামাল হোসেন নওগাঁর আত্রাইয়ের ইউএনও ছিলেন। বর্তমানে তিনি নাচোলের ইউএনও। তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায়।
ডিএনএর বিষয়ে দুদকের মহাপরিচালক বলেন, মামলার তদন্তকালে প্রকৃত পিতা-মাতার পরিচয় নির্ধারণে তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন করেন। দুদক সেই আবেদন বিবেচনা করে আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে আসামি কামাল হোসেন, তার প্রকৃত পিতা-মাতা এবং চাচা-চাচীর ডিএনএ পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, কামাল হোসেনের প্রকৃত পিতা আবুল কাশেম ও মা হাবীয়া খাতুন। কিন্তু তিনি কাগজপত্রে তার চাচা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসান হাবীব এবং চাচি সানোয়ারা খাতুনকে ‘পিতা-মাতা হিসেবে দেখিয়ে’ মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিভিন্ন সুবিধা গ্রহণ করেছেন।
তিনি এসএসসি, এইচএসসি ও উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত সব সনদে চাচা-চাচির নাম ব্যবহার করেছেন। এমনকি জন্ম সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্রেও তাদের নাম বসিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, চাকরি পাওয়া এবং অন্যান্য সুবিধা গ্রহণের ক্ষেত্রে এই প্রতারণা করেছেন তিনি।”
এজাহারে বলা হয়, “নবম শ্রেণি থেকে তিনি রেজিস্ট্রেশনে চাচাকে পিতা ও চাচিকে মাতা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেন। ধাপে ধাপে জালিয়াতির মাধ্যমে তিনি ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি পান।”

সম্পাদক /প্রকাশক: আব্দুল্লাহ আল মামুন। কুষ্টিয়া আমাদের অহংকার,, মিরপুর উপজেলা , কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ। কপিরাইট © মিরপুর টিভি কুষ্টিয়া সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত। নিউজ পোর্টালের জন্য যোগাযোগ ইমেইল :Mirpurtvkushtia@gmail.com.

প্রিন্ট করুন