*বিজিবি ধারাবাহিক টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ৭,৩২,৫০,০০০/- টাকা মূল্যের বিভিন্ন মালামাল জব্দ করেছে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি)।*

• বিজিবি ধারাবাহিক টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ৭,৩২,৫০,০০০/- টাকা মূল্যের বিভিন্ন মালামাল জব্দ করেছে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি)।*

অদ্য ২৫ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ ১০৩০ ঘটিকা হতে ১৫৩০ ঘটিকা পর্যন্ত কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি) এর অধিনায়ক, বিএ-৭৬২৮ লেঃ কর্নেল রাশেদ কামাল রনি, এসইউপি, পিএসসি, জি এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার চাঁদপুর (চরসাধিপুর) নামক স্থানে পরিবেশ দূষণ করে ইটভাটায় কয়লার পরিবর্তে কাঠ ব্যবহার করে ইট তৈরী করছে এমন ১০টি ইট ভাটায় বিজিবি, পুলিশ, আনসার, ফায়ার সার্র্ভিস, পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর সমন্বয়ে একটি টাস্কর্ফোস অভিযান পরিচালনা করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় যে, বর্ণিত স্থানে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী পরিবেশের ক্ষতি করে কয়লার পরিবর্তে কাঠ ব্যবহারের মাধ্যমে ইট উৎপাদন করছে যা পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করছে এরুপ তথ্যের ভিত্তিতে টাস্কর্ফোস অভিযান পরিচালনা করা হয়।

উক্ত অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তর, খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ আসিফুর রহমান এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ বেগম এর নেতৃত্বে ৪০ জন বিজিবি সদস্য, ০৬ জন পুলিশ সদস্য, ০৬ জন ফায়ার সার্ভিস সদস্য, ০৬ জন আনসার সদস্য এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের ০৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। টাস্কফোর্স অভিযানকালে নিম্নবর্ণিত মালামাল জব্দ করা হয়েছেঃ

ক। বিভিন্ন প্রকার গাছের কাঠ-৩৯,০০০মন × ২৫০ = ৯৭,৫০,০০০/-
খ। পাক মিল মেশিন-৪০টি × ৩,০০,০০০ = ১,২০,০০,০০০/-
গ। কাঠ ফারায় মেশিন-১০টি × ১২,০০,০০০ = ১,২০,০০,০০০/-
ঘ। ইট ভাটার চিমনি-২০টি × ১,৫০,০০০ = ৩০,০০,০০০/
ঙ। ইট কাটা কার্ফা মেশিন-৫টি × ৮,০০,০০০ = ৪০,০০,০০০/-
চ। ইট কাটা অটো মেশিন-৫টি × ১৫,০০,০০০ = ৭৫,০০,০০০/-
ছ। ইসকুভেটার-১০টি × ২৫,০০,০০০ = ২,৫০,০০,০০০/-

বর্ণিত টাস্কফোর্স অভিযানে জব্দকৃত মালামালের সর্বমোট সিজার মূল্য ৭,৩২,৫০,০০০ /- (সাত কোটি বত্রিশ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা*

*গৃহীত কার্যক্রমঃ* জব্দকৃত মালামাল বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক নিস্পত্তি করা হয়েছে।

কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি) সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং মাদক পাচারসহ সব ধরনের অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের অপরাধ নির্মূলে বিজিবি’র কঠোর ও কার্যকর অভিযান অব্যাহত থাকবে।