ঢাকা সোমবার ১৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর ভেড়ামারায়) প্রার্থীতা পুুুুনঃবিবেচনা করে তৃণমুলের মতামতের ভিত্তিতে যাচাই বাছাই করে চুড়ান্ত প্রার্থী মনোনয়নের দাবীতে দুই উপজেলায় হাজার হাজার বিএনপির নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে র্যালী ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর ২০২৫) সকালে ভেড়ামারা উপজেলায় ও বিকেলে মিরপুরে উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপির আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে মিরপুর ও ভেড়ামারার সকল ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি/সম্পাদক সহ অঙ্গসহযোগি সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীরা সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ অধ্যাপক শহীদুল ইসলামের চুড়ান্ত মনোনয়ন দাবী করেন। এসময় নেতাকর্মীরা দাবী করে বলেন, আমরা সবাই ধানের শীষকে বিজয় করব ইনশাল্লাহ তবে যাকে এই আসনে প্রাথমিক মনোনয়ন দেয়া হয়েছে তাকে দিয়ে এই আসনে বিজয় লাভ করা কোনভাবেই সম্ভব নয়। তাই দ্রুত এই আসনে প্রার্থীতা পুনঃবিবেচনার জন্য দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সমাবেশে কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের সাবেক তিনবারের সংসদ সদস্য, জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি, সংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক সভাপতি ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম উপস্থিত হয়ে বলেন, আমরা সবাই ধানের শীষের ভোট করব।
আমরা ধানের শীষকে সংসদে নিয়ে যাবো। কিন্তু এখানে যাকে প্রার্থিতা করা হয়েছে তার সাথে তৃণমূলের কোন নেতা-কর্মীর সম্পর্ক নেই। ইতিপূর্বে বিগত ১৭ বছরে কোন আন্দোলন সংগ্রামে তার অংশ গ্রহণ কারও চোখে পড়েনি। এছাড়াও আমাদের মিরপুরে আওয়ামীলীগের করা ২৮শে অক্টোবরের একটি বড় মামলায় কোন রকমের সহযোগিতা তার কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। মিরপুর ও ভেড়ামারা উপজেলায় কেন্দ্রঘোষিত বিএনপি’র কোন অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করার তেমন নজির নেই। তিনি একজন ভাল আইনজীবি হতে পারেন তবে তিনি ভাল রাজনৈতিক নেতা নন। তিনি জনবিচ্ছিন্ন একজন নেতা। তাকে দিয়ে এই আসনে ধানের শীষের বিজয় কোন ভাবেই সম্ভব না। তিনি আরো বলেন, আমি বিগত সংসদ নির্বাচনে পর পর তিনবার বিজয়ী হয়েছি। এমনকি জামাত ইসলামের সাবেক এমপি ওয়াহেদ সাহেবকে হারিয়েছি, জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি লিংকনকে হারিয়েছি, আওয়ামীলীগের মাহবুব উল আলম হানিফকে হারিয়েছি, জাতীয় নেতা জাসদের হাসানুল হক ইনুকে হারিয়েছি। আমার চেয়ে বাস্তব অভিজ্ঞা এই আসনে ভোটের লড়ায়ে আর কারও নেই। তাই এই আসনে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মতামত ও জনগণের নিকট হতে তদন্ত করে চুড়ান্ত মনোনয়ন দিলেই ধানের শীষের বিজয় ঘটবে ইনশাল্লাহ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আশরাফুজ্জামান শাহীন, সিনিয়র সহ সভাপতি খন্দকার ওমর ফারুক কুদ্দুস, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার টিপু সুলতান, পৌর বিএনপি’র সভাপতি আব্দুর রশিদ, উপজেলা বিএনপি’র সহ সভাপতি দাউদ মেম্বার, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক বাবু, সাবেক দপ্তর সম্পাদক মারফত আফ্রিদী, সাবেক প্রচার সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, পৌর বিএনপি’র সহ সভাপতি হাফিজুর রহমান বাবু, সাবেক প্রচার সম্পাদক মতিনুল হক মত
আপনার মতামত লিখুন :