ঢাকা মঙ্গলবার ১৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
বেগম খালেদা জিয়া নারী অধিকার ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে ছিলেন পথিকৃৎ- অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম।
মিরপুর প্রতিনিধি মামুন
কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের তিনবারের সাবেক সংসদ সদস্য, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী এবং বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম বলেছেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নারী সমাজের উন্নয়নে বেশ কিছু যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তাঁর শাসনামলে মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করেন। চাকরির ক্ষেত্রে নারীদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা প্রবর্তন করেন। পাশাপাশি পুলিশসহ বিভিন্ন পেশায় নারীদের চাকরির সুযোগ তৈরি করেন। তাঁর শাসনামলে পোশাক শিল্পের প্রসার ঘটে, যা বাংলাদেশের লাখ লাখ নারীর কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করে।
রোববার বিকেল তিনটায় উপজেলা ফুটবল মাঠে আয়োজিত নারী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নারী উন্নয়নে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেন। নারী অধিকার ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন পথিকৃৎ। তাঁর নেতৃত্বে নারীর উন্নয়ন শুধু আইনি ঘোষণার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি, বরং বাস্তব জীবনে নারীর শিক্ষা, কর্মসংস্থান, রাজনীতি ও অর্থনীতিতে অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। ফলে নারীরা আত্মনির্ভরশীল হয়ে জাতীয় উন্নয়নের মূল স্রোতে যুক্ত হতে শুরু করে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন নিয়ে দলটির বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নীতি তুলে ধরছেন। তিনি নারী অধিকার ও মর্যাদা সুরক্ষায় বেশ কিছু অঙ্গীকার করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে—ফ্যামিলি কার্ড, এসএমই ঋণ, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, রাজনীতি ও নীতি নির্ধারণ, মর্যাদা ও নিরাপত্তা এবং সামাজিক কল্যাণ। দলের রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের লক্ষ্যে ঘোষিত ৩১ দফায় তিনি নারী অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার ওপর ব্যাপক জোর দিয়েছেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, বৃহত্তর কুষ্টিয়া আসনের সাবেক মহিলা সংসদ সদস্য বেগম সেলিনা শহীদ। উপজেলা মহিলা দলের আহ্বায়ক সাজেদা রশিদের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন—উপজেলা বিএনপির সভাপতি আশরাফুজ্জামান শাহীন, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার টিপু সুলতান, পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুর রশিদ, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক বাবু, পৌর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আজাদুর রহমান আজাদ, জেলা যুবদলের সাবেক সহসভাপতি এমদাদুল হক এমদাদ, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সুলতান আলী, উপজেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট খাইরুজ্জামান খাইরুল, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনোয়ার হোসেন, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক সংগ্রাম খান জিল্লু, যুগ্ম আহ্বায়ক নাসিরুজ্জামান রানা, মহিলা নেত্রী সিমা আক্তার, রেশমা মেম্বার, কাঞ্চন মালা, নুরুন্নাহার খাতুন, আফরোজা খাতুন, রূপা খাতুন প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :